সব সত্যি স্বীকার করলো সোহিনী? কমলিনীর জন্মদিনেই ভদ্রলোকের মুখোশ খুলে ফেললো চন্দ্র!

স্টার জলসার (Star jalsha) সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিক (Bengali Serial) গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো চিরসখা (Chirosokha)। দীর্ঘদিন পর এই ধারাবাহিকের হাত ধরে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ দাস (Aparajita Ghosh Das)। এছাড়াও ধারাবাহিকে একেবারে অন্যরকম একটি চরিত্রে দেখা যেতে অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে (Sudip Mukherjee)। আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন টেলিভিশনের পর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
ধারাবাহিকে একটি অসমবয়সী প্রেম ফুটিয়ে তোলা হবে আগামী দিনে সেটা ধারাবাহিকের গল্প সেদিকে এগোচ্ছে তাতেই বোঝা যাচ্ছে। আর বাকি পাঁচটা ধারাবাহিকের চেয়ে যে এই ধারাবাহিক একেবারেই আলাদা হতে চলেছে সেটা প্রথম থেকেই বোঝা গিয়েছিল। আর যেখানে ধারাবাহিকের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, সেখানে তো আলাদা কিছু হতেই হবে।
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখানো হবে, কমলিনী জন্মদিনের দিন বাপের বাড়িতে গিয়ে অনেক অপমানিত হয়। নতুন কমলিনীর পাশে রয়েছে বলে সকলেই তাকে অপমান করার সুযোগ পায় বারবার। কিন্তু নতুন জানিয়ে দেয় সে কমলিনীর ভালো বন্ধু, তার চিরসখা তাই সবসময় কমলিনীর পাশে থাকবে সে, যেমন পরিস্থিতি হোক না কেন। সাথে নতুন তার বৌদিকে এটাও জানিয়ে দেয় যে সে ডলকে আর বিয়ে করতে পারবে না।
নিজের সম্পর্কে এত অপমান আর নিতে পারছে না কমলিনী। এদিকে প্লুটর সাথে মৌয়ের বিয়ের পাকা কথার আলোচনা করতে কমলিনীর বাপের বাড়িতে আসে অনন্যা। কিন্তু মৌয়ের বাবা জানিয়ে দেন তার মেয়ের সাথে মৌয়ের বিয়ে হতেই পারে যদি ছেলে মেয়েরা একে অপরকে বিয়ে করতে চায় তাহলে সেখানে তার বাধা দেওয়ার কোন অধিকার নেই। তবে মেয়ের বিয়েতে কোন দায়িত্ব পালন করবে না। নিজের জামাই এবং মেয়ের মুখ দেখবেন না বিয়ের পর। এই কথার পরে সেই দোষটা গিয়ে পড়ে মিঠি এবং কমলিনীর ওপর। মিঠির জন্য নাকি এ সমস্ত কিছু হচ্ছে। আসলে মৌ দূরে মিঠি প্লুটোকে ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মায়ের থেকেই প্রমাণ নিয়ে বাজিমাত করলো দুর্গা! শয়তানের মুখোশ খুলে সত্যি উদ্ঘাটন করলো জ্যাস!
তারপর সকলে মিলে বাড়ি চলে আসে। বাড়ি আসার পর আবারো প্রশ্নের মুখে পড়ে কমলিনী। কোথায় গিয়েছিল, কি করতে গিয়েছিল প্রশ্ন ঘিরে থাকে তাদেরকে। তারপর মিঠি জানায় আজ কমলিনীর জন্মদিনে তারা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল, আর সেখান থেকে কমলিনীর বাপের বাড়িতে গিয়েছিল। এসবের মাঝে নতুন করে ঝামেলা শুরু করে, তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। কিন্তু ঠিক তখনই তাদের ঝামেলার মাঝে ঢুকে পড়ে সোহিনী। সে এবং তার মেয়ে তারা এসে উপস্থিত হয়ে কমলিনীদের বাড়িতে। সোহিনী এসে কমলিনীকে সরাসরি জানায় তার সঙ্গে কিছু কথা রয়েছে সোহিনীর। স্পষ্ট জানিয়ে দেয় চন্দ্র সোহিনীর স্বামী এবং এই মেয়েটি চন্দ্র এবং তার সন্তান। এবারে দেখার অপেক্ষা কি হয় আগামী পর্বে।