নিজের জন্ম পরিচয় অস্বীকার করল ফুলকি! হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে কাছে পেয়ে দূরে ঠেলে দিল বড় রাণী!

দিব্যাণী মন্ডল (Devyani Mondal) এবং অভিষেক বসুর (Abhishek Bose) জুটিতে বর্তমানে দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হল ফুলকি (Phulki) ধারাবাহিক। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকটি (Bengali Serial) রমরমিয়ে চলছে টেলিভিশনের পর্দায় (Bengali Television)। টিআরপি তালিকাতেও দারুণ ফলাফল করে প্রতি সপ্তাহে। ফুলকি সবসময় টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে নিজেদের জায়গায় দখল করে রাখে। প্রথম থেকেই ধারাবাহিকের গল্প দর্শকের মন জিতে নিয়েছে।

ধারাবাহিকের শেষ কয়েকটি পর্বে দেখানো হয় ফুলকি আদালতের সামনেই ছোট রাণীকে প্রশ্ন করে এতদিন পর্যন্ত রুদ্র মুখোশ পরে ছোট রাজা সেজে ছোট রাণীর সামনেই রাজমহলে ছিল আর ছোট রাণী তাকে চিনতেই পারেনি? এটা কিভাবে সম্ভব? এরপর আদিত্যকে ডেকে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে ফুলকিকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে ধানু। কিন্তু অপর পক্ষের উকিল ধানুর এই প্রশ্নকে অবান্তর বলে কেস নিজেদের দখলে করে নেয়। বিচারকও বুঝতে পারে না ধানু কেন অবান্তর প্রশ্ন করছে। তাই বিচারক সরাসরি ধানুকে জিজ্ঞাসা করে ফুলকি দাসকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য তার কোন যথাযথ প্রমাণ আছে কিনা। ধানু কোন রকম সাক্ষী কোর্টে পেশ করতে পারবে কিনা। রোহিত কোর্টের মাঝে চিৎকার করে বলে ওঠে ছোট রানী সবাইকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে। কিন্তু এভাবে তো কোর্ট কারো কথা মানবে না।

Phulki, Zee Bangla, Bengali Serial, Bengali television, Phulki New Episode, Devyani Mondal, Abhishek Bose, Actress , Actor, Phulki Today's Episode 12 July, ফুলকি, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, বাংলা টেলিভিশন, ফুলকি নতুন এপিসোড, দিব্যানি মন্ডল, অভিষেক বোস, অভিনেতা, অভিনেত্রী, ফুলকি ১২ জুলাই এপিসোড

তারপরে যখন ধানু কোনরকম সাক্ষী ফুলকির হয়ে নিয়ে আসতে পারলো না তখন বিচারক নিজের রায় ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর ঠিক তখনই সেখানে এসে উপস্থিত হয় ছোট রাজা। বিচারককে থামিয়ে নিজে সাক্ষী দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। অনুমতি দেওয়া হলে ছোট রাজা বিচারকের সামনেই জানায় রুদ্র এতদিন পর্যন্ত ছোট রাজা সেজে রাজমহলের ভেতরে ছিল। অন্য দিকে ছোট রাজাকে রাজমহলের একটি গুপ্ত ঘরে আটক করে রাখা হয়েছিল। ফুলকি রোহিত মিলে ছোট রাজাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। তারা না থাকলে ছোট রাজা সেখান থেকে উদ্ধার পেতেন না।

ফুলকি ছোট রাজাকে উদ্ধার করার পরেই সন্দেহ করে রাজমহলের ভিতরে নিশ্চয়ই নকল ছোট রাজা সেজে কেউ বসে আছে। আর ঠিক তখনই ফুলকি সকলের সামনে নৃসিংহ দেবের মন্দিরে টেনে খুলে ফেলে রুদ্রর মুখোশ। রুদ্র যখন ফুলকির উপর হামলা করতে আসে তখন ফুলকি নিজেকে বাঁচানোর জন্য গুলি চালায়। এই সমস্ত ঘটনা বিচারকের সামনে জানায় ছোট রাজা। সাথে এটাও বলে ফুলকি যেমন রুদ্রর মুখোশ টেনে খুলেছে তেমনি রাজমহলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছে। তাই এই কেসের কোন মানেই দাঁড়ায় না। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের পর বিচারক ফুলকিকে বেকসুর খালাস করে। আর অন্যদিকে শ্যামাচরণ দাস আসলে প্রতাপ নারায়ণ চৌধুরী কিনা সেই কেস ওপেন হয়ে যায়। তাই বিচারক আদেশ দেয় এই আদালতেই ছোট রাজা এবং বড় রাজার ডিএনএ টেস্ট পরীক্ষা হবে এবং তারপরে বিচারক রায় জানাবেন।

আরও পড়ুনঃ ‘বাবা টাকা দিয়ে জাতীয় পুরস্কার কিনে দিয়েছে!’- বেফাঁস অভিনেতা! রাহুল ব্যানার্জীর সামনে অকপটে ঋদ্ধি সেন!

ছোট রাণী বুঝতেই পারছে সে কেস হেরে যাচ্ছে। মাঝখান থেকে ছোট রাজা এসে এভাবে সাক্ষী দেবে তিনি ভাবতেই পারেননি। বিরতির পর আবার কেস শুরু হয়। আদালতেই ডিএনএ টেস্ট করা হয়। আর তখনই ধানু বিচারককে অনুরোধ করে যেহেতু বড় রাজার আসল পরিচয় জানার জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে সেখানে তার উত্তরাধিকারী ফুলকি কিনা সেটা নিয়েও বারবার প্রশ্ন উঠেছে। তাই এই আদালতেই যেন ফুলকির জন্ম পরিচয়ের সত্যতা প্রমাণ করা হয়। বিচারক ধানুর কথার গুরুত্ব বুঝে ফুলকির ডিএনএ টেস্ট করার অনুমতি দেয়।

এরপর রায় ঘোষণা করার সময় বিচারক জানায় ছোট রাজার সাথে শ্যামাচরণ দাসের ডিএনএ ম্যাচ করেছে সুতরাং তিনি আসলে স্টেটের বড় রাজা আর বড় রাজার সাথে ফুলকির ডিএনএ ম্যাচ করেছে সুতরাং ফুলকি হল বড় রাজার সন্তান আর রাজমহলের উত্তরাধিকারী। বহু লড়াই এর পর যখন সব সত্যি প্রমাণ হলো তখন সকলেই খুশি। ফুলকির লড়াই সফল হলো, এতদিনে নিজের বাবা-মায়ের পরিচয় জানতে পারল সে। কিন্তু রাজমহলে ফিরে গিয়ে ফুলকি বড় রাণীর ওপরে অভিমান করে তাকে দুটো ঠেলে দেয়। ফুলকি জানিয়ে দেয় সে একজন সিলিন্ডার তোলা সাধারণ গরিব ঘরের মেয়ে হয়েই ঠিক ছিল। আসলে বড় রাণী ফুলকিকে সম্পূর্ণ ভুল বুঝেছিল, কিন্তু আসল সত্যিটা জানার পর ফুলকিকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে। আর তখনই ফুলকির সমস্ত রাগ অভিমান গলে জল হয়ে যায়।

Back to top button