মি’থ্যে কেসে ফেঁ’সে গেলো অনিকেত! প্রিয়াকে বাঁ’চা’তে পুলিশকেও ঘো’ল খাওয়ালো শ্যামলী!

Kon Gopone Mon Bhesechhe Today Episdode: এখন জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত কোন গোপনে মন ভেসেছে (Kon Gopone Mon Bhesechhe) ধারাবাহিকটি দর্শক মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টিআরপি তালিকাতেও একটু একটু করে উন্নতি করছে এই ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকার জুটি সারা ফেলে দিয়েছে টলি পাড়ায়। তাদের একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা নজর কেড়েছে ভক্তদের।
ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প অনুযায়ী, নিজের ননদ প্রিয়াকে বাঁচাতে জান প্রাণ এক করে সমস্ত ভয়কে দুর করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নায়িকা শ্যামলী। তার এই সহযোগিতায় নায়িকার প্রতি অনেকটাই দুর্বল হয়েছে নায়ক অনিকেত। শ্যামলী চায় তার প্রিয়া দিদি ঘরে ফিরে আসুক। জোড়া বাড়িতে কেউ শান্তিতে দিন কাটাতে পারছে না। তবে এইবার শ্যামলী যা করলো তাতে সব জারিজুরি শেষ হয়ে গেলো অর্ধেন্দুর।
সমস্ত পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে জ্যাকির ভিডিও ফুটেজ নিয়ে নিয়েছে অনিকেত। এখন শুধু সেটা আদালতে পেশ করার পালা। তাহলেই সোলো কোলা পূর্ণ হবে। ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছে শ্যামলী রোহিণী আর অনিকেত এদিকে তারা বেরোতেই অর্ধেন্দু বাবুর কাছে খবর পাঠিয়ে দিয়েছে তার লোকেরা।
অর্ধেন্দু সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে ট্রাফিক পুলিশকে। সে বলে, “মিথ্যে কেসে ফাঁসাতে হবে অনিকেতকে। ওদেরকে কিছুতেই কোর্ট অবধি পৌঁছতে দেওয়া চলবে না। ওদের গাড়ির ডিকিতে ড্রাগ পাওয়া যাবে। সেটাকে কেন্দ্র করে ওদেরকে চরম হেনস্থা করতে হবে।” সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। অনিকেতের গাড়িটা আসতেই তারা নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করে ফেলে। ওখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশের হেড বাকিদের জানিয়ে দেয় সিগনালটা একটু বেশিক্ষণের জন্য আটকে রাখতে হবে। আর পালিয়ে যাওয়ার আগেই ওদেরকে ধরতে হবে। অর্ধেন্দু বাবুর কথা মতই তাদেরকে ধরে ফেলে ট্রাফিক পুলিশ। বাকি যা যা ঘটে সবটাই যে জ্যাকির বাবার পূর্ব পরিকল্পনা সেটা বুঝতে বাকি থাকে না শ্যামলীর।
আরো পড়ুন: লাভ বিয়ে আজকালের পর হরগৌরী পাইস হোটেলে প্রধান নায়িকার মুখ বদল! এলেন দারুন জনপ্রিয় অভিনেত্রী!
ট্রাফিক পুলিশ যখন অন্য দের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত তখন শ্যামলী অনিকেতকে জিজ্ঞাসা করে এখান থেকে কোর্ট আর কত দূর? অনিকেত জানায় গাড়িতে দশ মিনিট হেঁটে কুড়ি মিনিট। শ্যামলী তখন অনিকেতের ফোনটা নিয়ে কোর্টের উদ্দেশ্যে দৌড়াতে থাকে। অন্যদিকে আদালতের বিচারক নিজের রায় শোনাতে যাবে ঠিক এমন সময় শ্যামলী এসে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ দেখিয়ে বিচারকের মাথা ঘুরিয়ে দেয়। এরপর অনেকের এসে ট্রাফিক পুলিশের বিষয়টাও তুলে ধরে আদালতে। শেষ পর্যন্ত প্রিয়া আর প্রতিম দুজনেই সসম্মানে মুক্তি পায় আর জ্যাকি এবং অর্ধেন্দু দুজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে বিচারক। নিজেদের ছেলেমেয়েদের ফিরে পেয়ে ভীষণ খুশি প্রত্যেকে। অন্যদিকে শ্যামলীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনিকেত।