পরিবারকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে দাঁড়ালো শিবপ্রসাদ! সঠিক সময় বেরিয়ে এলো তার পরশুরাম রূপ! এতদিনে সত্যের মুখোমুখি তটিনী!

স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় নতুন শুরু হাওয়া ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি হল পরশুরাম (Parshuram)। বেশ কয়েক সপ্তাহ হল ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে টেলিভিশনের পর্দায়। ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha) এবং অভিনেতা ইন্দ্রজিৎ বসু (Indrajit Bose) এই ধারাবাহিকের হাত ধরে ইন্দ্রজিৎকে বহু বছর পর আমরা টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পেয়েছি। মাঝে ছোটখাট কিছু কাজ করলেও ইন্দ্রজিৎকে প্রথম সকলে চিনেছিলেন জি বাংলার রাশি ধারাবাহিকের মাধ্যমে।

পরশুরাম ধারাবাহিকটি শুরুর দিন থেকে ধীরে ধীরে দর্শকদের মন জয় করে নিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে তো টিআরপি টপার হয়েছে ধারাবাহিকটি। সকলকে ছাপিয়ে একেবারে প্রথম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে দর্শকদের কাছে। যেটা একেবারেই অবিশ্বাস্য ছিল। তবে ধারাবাহিকের গল্প এবং তৃণা ইন্দ্রজিতের জুটি একটু একটু করে দর্শকদের মন জিতে নিচ্ছে।

ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখানো হবে, পরশুরামকে নিয়ে তটিনীর বাড়িতে সন্দেহ শুরু হয়েছে। কর্ণ চ্যাটার্জি পরশুরামকে পাগলের মতো খুঁজছে। তার আসল পরিচয় এখনো জানতে পারছে না কেউ। পরশুরাম আসলে কে কি তার আসল পরিচয় সেই নিয়ে এখন বেশ জলঘোলা হয়ে আছে। কর্ণ তাকে পাগলের মত খুঁজছে। সামনে পেলেই একেবারে শেষ করে দেবে। অন্যদিকে তটিনীর বাবা শিবপ্রসাদকে লোভ দেখিয়ে রেস্টুরেন্টে নিমন্ত্রণ করতে যায়। যাতে তার কাছ থেকে পরশুরামের আসল পরিচয় জানতে পারে।

তারপরেই তটিনীর বাবা শিবপ্রসাদকে ফোন করে তটিনী এবং তার দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া হবে হইচই হবে মদ্যপান হবে। শিবপ্রসাদের তো প্রথম থেকে সন্দেহ হয় এই কথা শুনে। কারণ তার শ্বশুর মশাই তাদের যেখানে পছন্দই করেন না সেখানে রেস্টুরেন্টে ডেকে খাওয়ানোর কথা বলছে এ কথাটা একেবারেই বিশ্বাস হয় না তার। তাই জন্য সরাসরি প্রশ্ন করে তিনি কি জানতে চান। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করে সরাসরি পরশুরামের পরিচয় জানতে চায় শিবপ্রসাদের কাছে। শিবপ্রসাদ একেবারেই এড়িয়ে যায় জানিয়ে দেয় লোভ দেখিয়ে কোন লাভ হবে না। কারণ পরশুরাম এর আসল পরিচয় শিবপ্রসাদ জানাবে না।

অন্যদিকে তটিনী যখন বাড়িতে নিজের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করাচ্ছিল তখন হঠাৎই লোডশেডিং হয়ে যায় এবং দুজন গুন্ডা এসে দরজা ধাক্কাতে থাকে। বোঝাই যাচ্ছিল ওই দুই গুন্ডাকে পাঠিয়েছে কর্ণ চ্যাটার্জী। তটিনী এবং তার ছেলেমেয়েদের ক্ষতি করার জন্য ওই গুন্ডা দুজন সম্মানে দরজা ধাক্কাতে থাকে। তটিনী তো ভয় পেয়ে যায় একদিকে লোডশেডিং হয়ে গিয়েছে অন্যদিকে বাইরে কেউ ডাকাডাকি করছে। কিন্তু কে ডাকছে সেটা হাজারবার জিজ্ঞাসা করার পরেও উত্তর দেয় না কেউ।

আর পড়ুনঃ বর্ষার নাটকে গোলে গেল রুদ্র! পায়ে ধরে আবারো জায়গা করে নিল বর্ষা! নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনলো কমলিনী!

এরপরই এসে উপস্থিত হয় শিবপ্রসাদ। নিজের পরশুরাম রুপ ধারণ করে গুন্ডাদের সেখানেই একেবারে শেষ করে দেয়। এরপরে তটিনী দরজা খুলে দেখে সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার স্বামী শিবপ্রসাদ। তটিনী তো ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তটিনীকে শান্ত করে শিবপ্রসাদ মিটার ঘরে যায় লাট্টুকে নিয়ে। এরপরই বলরামকে ফোন করে জানিয়ে দেয় তার বাড়ির সামনে দুজন গুন্ডার বডি পড়ে রয়েছে তাদের তুলে নিয়ে যেতে। লাট্টু তো বুঝতেই পেরেছে পরশুরাম এসেছিল। এবারে দেখার অপেক্ষা আগামী পর্বে কি হয়।

Back to top button