দোকানের মত জেলি এবার বাড়িতে! এই পদ্ধতিটি জেনে নিলে আজই বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারবেন অরেঞ্জ জেলি –
সকাল সকাল কী খাবেন এই নিয়ে বাড়িতে সমস্যা তৈরি হয় না এমন বাড়ি হয়তো খুঁজলে খুব কম পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে যদি বাড়িতে কোন বাচ্চা থাকে তার তো বায়নার শেষ নেই। একদিকে পুষ্টিকর হতে হবে আরেক দিকে মুখরোচক না হলে তার মুখে উঠবে না। তবে বর্তমানে মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন অনেক বেশি হয়ে পড়েছে। আর স্বাস্থ্য সচেতনতার সাথে সাথে মানুষের কাছে সময়ও কম। ব্যস্ততার মাঝে নানা রকম জিনিস তৈরি করে সেগুলি খাবারের তালিকায় দিতে হলে তা সমস্যা। তাই বাড়িতে যদি এমন কিছু থাকে, যা দিয়ে আপনি যখন সময় নেই সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নিতে পারবেন।
বর্তমানে সকালের ব্রেকফাস্ট বা নাস্তা জন্য কিছু উপকরণ খুব সাধারণ হয়ে গেছে। যার মধ্যে অন্যতম যেমন দুধ কনফ্লেক্স তেমনি রুটি জ্যাম অথবা জেলি। আর এগুলো সবই বাড়িতে থাকলে তা আপনি কিছুক্ষণের মধ্যেই বানিয়ে পরিবেশন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে জেলি হল বাচ্চাদের অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। সেটা যদি আপনি ঘরেতেই তৈরি করে রেখে দিতে পারেন তাহলে তো আর কোন কথাই হবে না। আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো কমলালেবু দিয়ে কী করে জেলি প্রস্তুত করতে হয়? এই জেলিটা ঘরে বানিয়ে নিয়ে দুই থেকে তিন মাস বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে আর খেতে হবে একেবারে হুবহু দোকানের মত।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে তৈরি করবেন জেলি! মাত্র দুটো উপকরণ দিয়েই আপনি তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই ঘরোয়া জেলি। প্রথমেই বাজারে যে ছোট সাইজের কমলা লেবুগুলো পাওয়া যায় সেগুলোকে কিনে নিতে হবে। ওগুলোর মধ্যে বীজ কম থাকে এবং অত্যন্ত মিষ্টি হয় যার জন্য আপনাকে আলাদা করে চিনি দিতে হবে না। তারপরে সব কমলালেবুগুলো খোসা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে। তারপরে সেই কমলা লেবুর কোয়া গুলোকে একটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়ে একটি ছাকনির মাধ্যমে পুরো জুসটাকে আলাদা পাত্রে ছেঁকে নিতে হবে।
তারপর মিডিয়াম ফ্লেমে একটি পাত্র বসিয়ে তার মধ্যে সেই অরেঞ্জ জুসটাকে ঢেলে দিতে হবে। রসটা দেখেই বুঝতে পারবেন তার কত সুন্দর রং হয়েছে। আলাদা করে কোন রং দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপর সেই মিডিয়াম ফ্লেমে রেখেই ৫ থেকে ৬ মিনিট ধরে অনবরত নাড়তে হবে ওই রস টিকে। তারপর সেটা কিছুটা ঘন হয়ে গেলে তার মধ্যে ১/২ চা চামচ পরিমাণ অরেঞ্জ এসেন্স ব্যবহার করতে হবে। এটা চাইলে আপনি দিতেও পারেন অথবা নাও দিতে পারেন। তবে আপনি যদি দেন তাহলে এর আলাদা একটা ফ্লেভার আসবে। যখন ঘন হয়ে আসবে তখনই ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ১/২ চা চামচ পরিমাণ আগার আগার পাউডার। তারপর ২ মিনিট হলেই দেখতে পাওয়া যাবে যে এটা অনেকটাই ঘন হয়ে এসেছে। তারপরে ঠান্ডা করলেই এটা আসল রূপে চলে আসবে। এরপর যে পাত্রে আপনি জেলিটাকে রাখবেন সেই পাত্রটাকে নিয়ে ওই ঘন জেলিটা দিয়ে দিতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে ঠান্ডা হওয়ার জন্য।
তারপরে দু’ঘণ্টা হয়ে গেলে দেখতে হবে পুরো জেলিটাই সেট হয়ে গেছে এবং আপনি যদি পাত্রটা উপুর করেন তাহলেও সেটা পড়বে না। আর একটা চামচের সাহায্যে কেটে দেখবেন পুরো দোকানের মতই জেলি হয়েছে। খেতে এবং গন্ধে অতুলনীয় সেটি। ছোট থেকে বড় সকলেই পছন্দ করবে এই জেলিটি। তাহলে চটপট বানিয়ে ফেলুন আপনার বাড়িতে এটি। আর তারপরে পরবর্তী দু-তিন মাস আপনার সকালের নাস্তা হোক বা বিকেলের টিফিন কোন কিছুর জন্যই চিন্তা করতে হবে না তার কারণ আপনার সঙ্গে থাকবে এই অরেঞ্জ জেলিটি।