‘খাবার কিনে খাওয়ারও পয়সা ছিল না…আমার মৃ’ত্যু যেন শুটিং সেটেই হয়!’- সাক্ষাৎকারে আবেগপ্রবণ অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ!

চান্দ্রেয়ী ঘোষ (Chandrayee Ghosh) বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) একজন দাপুটে অভিনেত্রী। সিরিয়াল-সিনেমা থেকে শুরু করে ওটিটি, সবেতেই তিনি সাবলীল। চান্দ্রেয়ীর কাজের শুরু টেলিভিশন থেকে। গত ২০ বছর তিনি পার করেছেন সিরিয়ালে। সিরিয়ালে খলনায়িকা চরিত্রে তিনি অপ্রতিরোধ্য। মা মনসা থেকে কটকটি রাক্ষসী চরিত্রে তাঁর জনপ্রিয়তা ঘরেঘরে।

তবে আজ যে এতো জনপ্রিয়তা এত নাম যশ খ্যাতি সবটার জন্য একসময় দাঁতে দাঁত চেপে সংগ্রাম করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রীর মা কিন্তু জনপ্রিয় একজন নৃত্যশিল্পী। পূর্ণিমা ঘোষ নৃত্য জগতের অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। মূলত তিনি মণিপুরী নৃত্যশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হলেও ভরতনাট্যম, কত্থক, ওড়িশি নাচেও তিনি সমান দক্ষ।

চান্দ্রেয়ীর জীবনের এই সংগ্রামের পিছনে অভিনেত্রী মায়ের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘একসময় আমাদের অবস্থা খুবই স্বচ্ছল ছিল। আমি এবং আমার দিদি দুজনেই খুব ভালো স্কুলে পড়াশোনা করেছি।বাবা-মা সবসময় চেয়েছেন আমরা ভালো পরিবেশে বড় হয়ে। সেই মতো তারা তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু একসময় আমার বাবার কাজ চলে যায়। সর্বস্ব হারিয়ে আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাই। তখন আমাদের খাবার কিনে খাওয়ারও পয়সা সেটুকুও ছিল না। সেই সময় আমাদের মাসি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় খাবার আমাদের যোগান দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মা কখনো আমাদের সেই সময় বুঝতে দেয়নি কোন অভাব। আমাদের পড়াশোনা এতটুকু ঘাটতি হতে দেয়নি।’

‘খারাপ ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা প্রত্যেকেই যাই। কিন্তু সেই সময়ও পজেটিভ থাকা আমি আমার মায়ের থেকে শিখেছি। আমার মা কখনো ভেঙে পড়েননি। কি হবে কিভাবে চলবে সেইসব নিয়ে কখনো ভাবনা চিন্তা করেনি তিনি। আর মা এখন আমার মেয়ে হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুনঃ লাকি সেজে রায় বাড়িতে ঢুকে পড়ল শুভ! মোহনার মুখোশ খুলতে শুরু হলো নতুন অভিযান!

অভিনেত্রী কাজ শুরু করেন ১৯৯৯ সাল থেকে। তখন থেকেই সানন্দা পত্রিকায় তিনি মডেলিং করতেন এবং তারপর সেখান থেকে সুযোগ আসে আলফা বাংলাতে ধারাবাহিকে কাজ করার। সেই থেকে টানা কাজ করে চলেছেন অভিনেত্রী। আর সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নিজের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কাজ করতে চান। অভিনেত্রী চান শুটিং করতে করতেই শুটিং ফ্লোরেই যেন তার মৃত্যু হয়।

Back to top button