উত্তম কুমারের সাথে ‘মিস লোলা’র চরিত্র থেকে ছোট বউতে দজ্জাল শাশুড়ি! এত দক্ষ অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও বাংলা ইন্ডাস্ট্রি থাকে যোগ্য সম্মানটুকু দেয়নি! আজ জানব সেই মীনাক্ষী গোস্বামীর কথা

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন বহু অভিনেতা অভিনেত্রীরা রয়েছেন যারা একটা সময় নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। এবং বাংলা সিনেমার জগতকে সারা পৃথিবীর কাছে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলা ইন্ডাস্ট্রিই তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনি এমনই একজন অভিনেত্রী হলেন মীনাক্ষী গোস্বামী।

একটা সময় ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা সব জায়গায় অভিনয় করেছেন তিনি। সে সঙ্গে পজেটিভ থেকে নেগেটিভ এই দু ধরনের চরিত্র তেই দেখতে পেয়েছে দর্শক। তবে দজ্জাল শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি যে পরিমাণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তা বলাই বাহুল্য। :ছোট বউ’ থেকে শুরু করে ‘ঘরের বউ’ এই সব ছবিতেই তার অভিনয় দর্শকদের মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে। কিন্তু এখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে কেউই মনে রাখে না।

actress
১৯৩৩ সালের ২১ শে মে এলাহাবাদের একটি পরিবারে তার জন্ম। ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল ভালো অ্যাথলেটিক হওয়ার সাঁতারের পাশাপাশি ভলিবলেও পারদর্শী ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সাঁতার কম্পিটিশনে যোগ দেওয়ার জন্য রাশিয়া গিয়েছিলেন তিনি। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলিবল টিমের নেতৃত্ব দিতেন তিনি।

Chhoto Bou (1988) - IMDb
কিন্তু হঠাৎই একদিন যোগ দিয়েছিলেন পিপলস্ থিয়েটার গ্রুপে নাটক করার জন্য। নাটক করতে করতেই নাচ শেখেন সাধন গুহ এবং অতীন লাল চৌধুরীর কাছে। প্রথম অভিনয় করেন ১৯৮০ সালের ‘দক্ষযজ্ঞ’ ছবিতে। তবে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন উত্তম কুমার অভিনীত ‘ওগো বধূ সুন্দরী’তে ‘মিস লোলা’র চরিত্রে অভিনয় করে।

actress

তবে এছাড়া তিনি ‘ছোট বউ’ ছবিতে দজ্জাল শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকের চোখে পড়েছিলেন। এছাড়াও তিনি অভিনয় করেছিলেন ‘দুটি পাতা’, ‘অমর গীতি’, ‘সম্রাট সুন্দরী’, ‘শ্বেত পাথরের থালা’ প্রভৃতি ছবিতে। তবে বাংলা ধারাবাহিকে তাকে ট্রেডমার্ক করে দেওয়া হয়েছিল অত্যাচারী শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য। তাই তাকে মা এবং শাশুড়ির চরিত্র ছাড়া আর কোন চরিত্রে ভাবতেই পারতেন না বাংলা পরিচালকরা।

Movie Actress Meenakshi Goswami Biography, News, Photos, Videos | NETTV4U
তাই এত দক্ষ একজন অভিনেত্রী কে এভাবেই আস্তে আস্তে মিলিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আর সেভাবে কাজের ডাক আসতো না তার কাছে। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘আলেয়ার আলো’। ২০১২ সালের ৮ই মার্চ তার মৃত্যুর পর কোন সংবাদমাধ্যমকেও সেভাবে প্রচার করতে দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে বাংলায় ইন্ডাস্ট্রি থাকে মনে না করলেও দর্শকরা তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য আজও মনে রেখে।

Back to top button