ফুলকি রোহিতকে একসাথে দেখে ফেলল জেঠুমনি, দুজনার দূরত্ব বজায় রাখতে পুরুষের ছদ্মবেশ নিলো ধানু!

কথা কিভাবে বের করতে হয় সেটা খুব ভালো করেই জানে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকের নায়িকা। শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশ জনপ্রয়তা পেয়েছে এই ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তার পিছনে যার ভূমিকা অনস্বীকার্য সে হলো ধারাবাহিকের নবাগতা নায়িকা দিব্যানি মন্ডল।
বর্তমানে এই ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, মন থেকে না চাইলেও শুধুমাত্র রোহিতকে এই দোটানার মধ্যে থেকে মুক্তি দিতে তাকে ডিভোর্স দিতে উদ্যত হয়েছে ফুলকি। কিন্তু রোহিত মনে মনে ফুলকিকে ভালোবেসে ফেলেছে তাই তার পক্ষে তাকে ডিভোর্স দেওয়া কোনমতেই সম্ভব নয়। এর আগের দিনের পর পেয়ে এই কথাটা শালিনীকে স্পষ্টভাবে বলে দেয় রহিত।
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, ফুলকি অনেক ভোরবেলায় উঠে একটা চিঠি লেখে। সেখানে সে রোহিতকে সেই রাস্তাটায় আসতে বলে যেখানে ফুলকি রোজ দৌড়াতে যায়। এসব লিখে ফুলকি বেরিয়ে পড়ে নিজের কাজে। রাত ভোর পাহারা দিয়ে সবাই খুব ক্লান্ত তাই প্রত্যেকেই ঘুমোচ্ছে। এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চায় ফুলকি কারণ তারও অনেক কিছু বলার রয়েছে তার স্যারকে।
ফুল কি বাইরে বেরিয়ে চিন্তা করতে থাকে আগেও চিঠিটা স্যারের হাতে পড়েছে কিনা। তখনই সেখানে গাড়ি নিয়ে চলে আসে রোহিত আর ফুলকিকে উঠে আসতে বলে। ফুলকি গাড়িতে বসতেই লং ড্রাইভে চলে যায় রোহিত। এরপর তারা একটা পার্কে নামে যে পার্কে প্রথমবার বিয়ের পর ফুলকি এসেছিল। সেখানে হাওয়াই মিঠাই দেখতে পেয়ে খেতে শুরু করে ফুলকি। রোহিত মনে মনে ভাবতে থাকে এই মেয়েটা কিভাবে ডিভোর্সের কথা বলে? শালিনীর তো তাও কিছু আছে কিন্তু ফুলকিত কিছু নেই। এই ডিভোর্সটা হলে ফুলকির ক্যারিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে।
ফুলকি আর রোহিতকে গাড়ি করে একসাথে যেতে দেখে নিয়েছিল জেঠুমনি আর সেটাই সে জানিয়ে দেয় তমাল পিয়াল আর ধানুকে। ধানু ছদ্মবেশে ফুলকিরে ধারে কাছে ঘুরঘুর করতে থাকে। এদিকে শালিনী রুদ্রকে ফোন করে বলে, রোহিতের মতিগতি কিছুই বুঝতে পারছে না সে। রোহিত ফুলকিকে ডিভোর্স দিতে পারবে না এখন সেটাই মনে হচ্ছে তার। শালিনীর কথা শুনে নিজেও ভীষণ চিন্তায় পড়ে যায় রুদ্র।