অফিসে পা রাখতেই মেহেন্দি কুপোকাত! কাজের চাপে লেজ গুটিয়ে বাড়ি ফিরে এলো সে!

এই মুহূর্তে আবারো জমে উঠেছে জি বাংলার (Zee Bangla) জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। ফের বুদ্ধিতে বাজিমাত করছে কৌশিকী আর জগদ্ধাত্রী। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। গত সপ্তাহের টিআরপি অনুযায়ী তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে এই ধারাবাহিক। ৮ থেকে ৮০ প্রত্যেকের কাছেই ধারাবাহিকের নায়িকা একজন রোল মডেল।
ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প অনুযায়ী, শকুন্তলা অর্থাৎ জগদ্ধাত্রীর সৎ মা, নিজের মেয়ে অর্থাৎ মেহেন্দিকে তার শ্বশুর বাড়ি এবং শশুর বাড়ির দখল এবং অফিসের দখল এসব কিছু পাইয়ে দেওয়ার জন্য একটা চাল চালে। আর সেটাতে সফল হয় সে। স্বয়ং কৌশিকী মুখার্জী নিজের হাতে মেহেন্দিকে সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেয়। তবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কি ঘটে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, মেহেন্দি চিন্তা করতে থাকে ঠিক কিভাবে সবকিছু সামলাবে। প্রথমে কৌশিকীর ঘরে গিয়ে তার চেয়ারটা কৌশিকীর সামনেই কিভাবে দখল করবে। তার মনে এখন আর আনন্দের শেষ নেই। আর কিছুক্ষণ বাদেই এইসব রাজত্ব তার হতে চলেছে। এই গোটা রাজত্বে শুধুমাত্র সে একাই থাকবে। মাঝেমধ্যে তার ভয় লাগে আদৌ কৌশিকী তার কথা রাখবে তো? কিন্তু উৎসব তাকে বলে দিদি যখন কথা দিয়েছে তখন কথার খেলাপ সে কিছুতেই করবে না।
সকাল হতেই মেহেন্দি উৎসব আর দেবুকে নিয়ে অফিসে চলে এসেছে কৌশিকী মুখার্জী। অফিসে ঢুকতেই সবাই উঠে দাঁড়িয়ে গুড মর্নিং সম্বোধন করে মেহেন্দিকে। বোঝাই যাচ্ছে কৌশিকী আগের থেকেই সবাইকে শিখিয়ে পরিয়ে রেখেছিল যে ঠিক কি কি করতে হবে। মেহেন্দি প্রথমে বুঝতে পারে না যে তাকে সবাই সুপ্রভাতে জানাচ্ছে। এসব মিটলে একে একে মেহেন্দির হাতে ফাইল কাজের বোঝা ফোন কল এই সমস্ত চাপিয়ে দিতে থাকে। মেহেন্দি বুঝে উঠতে পারে না সে কোনটা আগে করবে আর কোনটা পরে। সে বলে এত কাজ সামলানো যায় নাকি? কৌশিকী তাকে জানায়, এতদিন একা হাতে এই সব কাজ এভাবেই সামলে এসেছে আর এবার সবকিছু মেহেন্দিকে সামলাতে হবে।
কৌশিকীর ঘরে ঢুকতেই, মেহেন্দি বলে সে আজ জিতে গেছে। একদিন সে বলেছিল এই সব কিছু কৌশিকীর থেকে সে ছিনিয়ে নেবে, আর আজ সে সেই বাজি জিতে গিয়েছে। কৌশিকী মনে মনে হাসে। আর তারপর একে একে অফিসের সবাই আরো নানারকম কাজ তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। এত কিছু দেখে মাথা ঘুরে যায় মেহেন্দির। সে বলে এর থেকে তো রান্নাঘরে রান্না করা অনেক সহজ ছিল। উৎসব আর দেবু তাকে বোঝায় এত সহজে হেরে গেলে চলবে না। দায়িত্ব যখন নিয়েছে তখন সামলাতেই হবে। এরপর কৌশিকী দেবুকে বলে, সে তার জন্য একটা ছোট কেবিনের ব্যবস্থা করেছে। দেবো শুনে খুব খুশি হয়ে যায় আর কৌশিকীর সাথে চলে যায় তার কেবিন দেখতে।