জেল থেকে পালালো বটব্যাল, তিন্নির পিসি সেজে পর্ণার ক্ষতি করতে দত্ত বাড়িতে ঢুকলো সে, এই চরম বিপদ থেকে কী করে রক্ষা পাবে পর্ণা?

আবির্ভাবেই বাজিমাত করেছিল নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu)। সম্প্রচার শুরু হতেই জায়গা করে নিয়েছিল টিআরপি (TRP) লিস্টের প্রথম দিকে। বর্তমানেও প্রত্যেক সপ্তাহেই প্রথম দশের মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিক। দর্শকদের মতে, এর গল্প অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে বেশ আলাদা। ঝাঁ চকচকে ড্রয়িংরুমের বদলে এই ধারাবাহিক এগোচ্ছে উত্তর কলকাতার বনেদি কিন্তু মলিন বাড়ির উঠোনে।

গল্পের নায়িকা পর্ণা চায় শ্বশুরবাড়ির অচলায়তন ভেঙে কর্মরতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। তাও আবার সাধারণ কোনও চাকরি নয়। পর্ণা সফল সাংবাদিক হতে চায়। তার লড়াইয়ের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছেন এই প্রজন্মের মেয়েরা। মধ্যবিত্ত বাড়ির খুঁটিনাটিতে নিজেদের জীবন খুঁজে পাচ্ছেন দর্শকরা। গল্পে গরু গাছে ওঠেনি বলেও মত তাঁদের।

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো। এই প্রোমো দেখে দর্শকরা অবাক। অনেকদিন ধরেই অনেক ক্ষতি করে এসেছে তিন্নি আর বটব্যাল। এইবার পর্ণার কাছে হার স্বীকার করতে হলো তাকে। সমস্ত প্রমাণ জোগাড় করে বটব্যালকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিল পর্ণা। সবার সামনেই বটব্যাল পর্ণাকে চ্যালেঞ্জ করলো যে, কোন জেল তাকে আটকে রাখতে পারবে না, এমন কোন জেল নাকি তৈরিই হয়নি।

তিনি আরো বলেন সুখপ্রকাশ বটব্যাল খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবে জেল থেকে। তার এই কথা যে এত তাড়াতাড়ি সত্যি হয়ে যাবে এটা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি পর্ণা। কয়েকদিনের মধ্যেই টিভি নিউজ চ্যানেলে একটি নিউজ শুনে হতভম্ব হয়ে যায় সে। সেখানে বলা হয় জেল থেকে পালিয়ে গেল বটব্যাল। শুনে মাথায় হাত পর্ণার।

এখন প্রশ্ন পালিয়ে কোথায় গেল সে? প্রোমোর পরের ঝলকেই দেখা যায় তিন্নি এক মহিলাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছে, সবাইকে সে বলে যে উনি তিন্নির ফুল মাসি এবং কয়েক দিনের জন্য তিনি সেখানেই থাকবেন। তিন্নির ফুল মাসিকে দেখে কিছুটা সন্দেহ হলেও বিষয়টা ধরতে পারেনি পর্ণা। কিন্তু দর্শকদের বুঝতে বাকি নেই যে সেই বটব্যাল এবার তিন্নির ফুল মাসির বেশ ধরে তিন্নির সাহায্যে পর্ণার সর্বনাশ করতে ঢুকে পড়েছে তারই বাড়িতে। এই মহা বিপদ থেকে কিভাবে নিজেকে এবং গোটা পরিবারকে বাঁচাবে পর্ণা?

Back to top button